অনেকদিন
ধরেই ট্রিকবিডিতে পোস্ট করা হয়না
ব্যস্ততার কারনে। আজ
আপনাদের মাঝে শেয়ার করব
কয়েকটি ট্রিকস , যা আপনাকে কাজে
দিবে চাকরীক্ষেত্রে :
1. ভালমানের চাকরি বাছাই করুন:
চাকরি কোন ছেলেখেলা নয়। চাকরী বাছাইয়ে সতর্ক থাকুন। এজন্য প্রথমেই বেছে নিন আপনি কোন ধরনের চাকরিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আপনি কি কম্পিউটারের সামনে এসি রুমে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে চান? নাকি সারাদেশ ঘুরে ঘুরে জরিপে যেতে চান। যার যেটা পছন্দ সেটা বাছাই করুন। এতে চাকরিক্ষেত্রে আপনার দ্রুত উন্নতি হবে।2. সিভি লেখুন ভালরকম:
চাকরিতে যোগ দেয়ার টোকেনই হলো আপনার সিভি। আপনার সিভি এমন হতে হবে যাতে নিয়োগকর্তা ইন্টারেস্টেড ফিল করে। এজন্য আপনার সিভিটাকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষনীয় করে লিখতে হবে। তবে অতি জিনিসটা কখনোই ভাল না…তাই খুব বেশি রং চড়িয়ে লেখা পরিহার করুন।এজন্য সাজেস্ট করব ten-minuteschool.com এ গিয়ে পদ্ধতি দেখতে3 সাম্প্রতিক সময়ের বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দিন:
কোন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা চান তাদের কর্মকর্তারা যাতে ভাল রকম এক্টিভিটিস্ট হন। এজন্য আপনাকে সাম্প্রতিক ঘটনার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সাম্প্রতিক ঘূর্নিঝড় কোথায় হলো, জাতীয় বাজেট কত কোটি , এলাকার লোকসংখ্যা কত ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে আপনার ধারনা থাকতে হবে। এর সুবিধার জন্য পাবলিক লাইব্রেরী ও google এর সাহায্য নিতে পারেন4. দক্ষতা অর্জন:
চাকরিক্ষেত্রে আপনার দক্ষতায়ই চাবিকাঠি। এজন্য ইংরেজি ভালরকম বলতে হবে। সাথে শুদ্ধ উচ্চারনে বাংলা বলাও চাই। তাছাড়া কম্পিউটার টাইপিং এ দক্ষতা থাকতে হবে। এখন ডিজিটাল যুগ। যার দক্ষতা বেশি, তার চাহিদাও বেশি । এজন্য সাজেস্ট করব microfot exel, office word এ গুরুত্ব দেওয়া।5. আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক করুন:
কর্মি হতে হলে আপনাকে ক্ষীপ্র ও নমনীয় হতে হবে। এজন্য চাই সঠিক বডি ল্যাংগুয়েজ। যাদের আত্মবিশ্বাস কম তারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তা ঝালাই করতে পারেন।6. ইন্টারভিউ ড্রেসআপ:
এবার আসা যাক ড্রেসআপের ব্যাপারে। চাকরিক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আপনি কে?? আপনার বাড়িঘর এইসব বিষয়ে গুরুত্ব দেয় না। তারা আপনার দক্ষতাকে এবং যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেয়। আর তার প্রকাশ করতে পারেন আপনার ড্রেসআপ দিয়ে। ইন্টারভিউয়ের দিন হালকা কালারের ড্রেস পরে যেতে পারেন। হালকা সুগন্ধিও দেওয়া যেতে পারে। তবে লক্ষ রাখবেন , তা যেন অন্যদের বিরূপ প্রভাব না ফেলে
7. ইন্টারভিউ রুমে আদবকেতা :
ইন্টারভিউ রুমে ঢুকে প্রথমেই সালাম দিবেন। সাথে একটা মিষ্টি হাসি। হাসির গুন অনেক। সেখানে আপনি নম্র আচরন দেখাবেন। চেয়ার টানার সময় যাতে শব্দ না হয় খেয়াল করবেন। যতক্ষন বসতে না বলে ততক্ষন বসবেন না। খেয়াল রাখবেন আপনার আচরন যাতে উদ্বত না হয়8. আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন:
এই প্রশ্নটি দ্বারা আপনার যোগ্যতা অভিজ্ঞতা বোঝানো হয়েছে। আনার শখ কি, কি খেয়ে এসেছেন জিজ্ঞাসা করা হয়নি। যতটুকু সম্ভব নিজের দক্ষতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবেন যাতে প্রশ্নকারী ইন্টারেস্টিং ফিল করে9. পূর্ব প্রতিষ্ঠানের বদনাম নয়:আগ্রহী প্রতিষ্ঠানে কাছে এর পূর্ববর্তি প্রতিষ্ঠানের বদনাম করবেন না। কোন খারাপ অভিজ্ঞতা থাকলেও না। যতটুকু সম্ভব গুছিয়ে বলুন আপনার অভিজ্ঞতা। এতে আপনার উপর কর্মকর্তার আস্থা তৈরী হবে।
10.সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা: